লেখা শুরু করার আগে আমি কিছু বিষয় মাথায় রেখে লিখি, তার মধ্যে কিছু টিপস আপনাদের উন্নত লেখা প্রকাশ করতে কাজে আসবে বলে আমি মনে করি।
১। আইডিয়া বা টপিক নির্বাচন – লেখা শুরু করার আগে এই বিষয়টিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আইডিয়া বের করার ক্ষেত্রে আমি শুধু বলবো, এমন টপিক বাছাই করবেন যে বিষয়ে আপনি ভালো জানেন এবং অন্যদেরকে ভালো ভাবে বোঝাতে পারবেন বলে মনে করেন।
১। রিসার্চ – আপনি যেই বিষয় নিয়েই লিখুন না কেনো, সবসময় চেষ্টা করবেন, যেই বিষয়টি নিয়ে লিখতে যাচ্ছেন সেটির অনেক গভীরে যাওয়ার। অধিকাংশ লেখকই টপিক নির্বাচন করার পর সেই বিষয়ে গুগলিং করে যতটুকু সম্ভব অন্যান্য লেখা পড়ে থাকে। সংগ্রহ করা রিসোর্স গুলোকে একটি লিস্ট আকারে তৈরী করা যেতে পারে।
২। প্ল্যান – এখন লেখাটির একটি স্ট্রাকচার তৈরী করার সময়। এসময় আমি প্ল্যানিং করে পুরো ব্লগটার একটি গঠন প্রস্তুত করি। যেখানে লেখাটির কনটেন্ট আমার মাথায় থাকে আর সেই অনুযায়ী শিরোনাম, উপ-শিরোনাম ও অন্যান্য বিষয়সমূহ নির্দিষ্ট করে ফেলি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এখন যে লেখাটি পড়ছেন তার মূল পয়েন্ট গুলো আমি প্ল্যানিং করার সময় তৈরী করেছি।
৩। লক্ষ্য – ব্লগের টপিকের উপর ভিত্তি করে লেখাটি কতো শব্দের মধ্যে শেষ করা যায় সেটি নির্ধারণ করা। সাধারণত অনলাইন পাঠকরা ১০০০-২০০০ শব্দের লেখা পড়তে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
৪। পরিসংখ্যান যোগ করা – যতটুকু সম্ভব বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের উপর ভিত্তি করে লেখাটি পূর্ণাঙ্গ করা। বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও অনুমোদিত তথ্য যোগ করলে লেখাটিকে অনেক প্রাণবন্ত মনে হবে, যেটি পাঠকের কাছে ভালো লাগা তৈরী করবে।
৫। সম্পৃক্ত লেখা যুক্ত করা – যতটুকু সম্ভব অন্যান্য পোষ্টের সাথে যোগসূত্র তৈরী করা। এর মানে এই না যে পাঠককে ব্লগের অন্য লেখা পড়তে উৎসাহিত করছেন। বরং অন্য লেখা সংযোগ করলে ঐ বিষয়ে নতুন করে বিস্তারিত আর বলতে হয়না। অতিরিক্ত লেখা সাশ্রয় হয়।
আমি ব্লগ লিখতে গেলে ঠিক কি কি চিন্তা করি, তার সবকিছু এখানে বলা সম্ভব হয়নি। আশাকরি উপরের লেখাটিতে আপনি ব্লগ লেখা নিয়ে একটি পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। নতুন ব্লগ শুরু করার ক্ষেত্রে ব্লগের গুরুত্বপূর্ণ অংশ যোগ করতে ভুলবেন না আর টিপস গুলো মাথায় রাখলে আপনিও একটি সুন্দর ব্লগ উপহার দিতে পারবেন।