techdiary.dev presents

ডেভ আর্টিকেল কন্টেস্ট

সুমিত ভাইয়ের সাথে

হোম পেইজ

ব্লগ লিখার কিছু টিপস এন্ড ট্রিক্স

কন্টেন্ট গুলো অভিযাত্রী থেকে সংগৃহীত

একটি সফল ব্লগ পোষ্ট লেখার জন্য কি কি বিষয় জানা প্রয়োজন ও এর সাথে কিছু কার্যকরী টিপস নিয়ে অভিযাত্রিদের উদ্দেশ্যে এই লেখাটি একজন সফল লেখক হতে সাহায্য করবে।

যারা নতুন লেখালিখি শুরু করছে, তাদের মধ্যে বেশীরভাগই কোনো গাইডলাইন ছাড়া এলোমেলো ভাবে ব্লগ লেখে। মাথায় একটা আইডিয়া আসলো আর ওমনি লেখা শুরু করে দিলো। যারা ফলে অসংখ্য লেখা পাওয়া যায় কিন্তু গুণগতমান সম্পন্ন লেখা খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। একটি সুন্দর ও আকর্ষনীয় ব্লগ লেখার মধ্যে যেমন অন্যরকম আনন্দ পাওয়া যায় তেমনি ভাবে এখানে শেখারও অনেক কিছু রয়েছে। নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে লেখা শুরু করার আগে ফর্মুলা মেনে চললেই কিন্তু অসাধারণ লেখা উপস্থাপন করা যায়।

তাই আজকের এই লেখায় আমি শেয়ার করবো কিভাবে লেখার ফর্মূলা মেনে পাঠকদের ভালো ব্লগ উপহার দেওয়া যায়! তার আগে জেনে নেওয়া যাক একটি আদর্শ ব্লগের কি কি অংশ রয়েছে?

যেকোনো ব্লগেরই কয়েকটা পার্ট বা অংশ থাকে, যার প্রতিটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি ৭টি অংশে একটি ব্লগ পোষ্টকে ব্যবচ্ছেদ করলাম।

১। টাইটেল বা শিরোনাম  ব্লগের যেই অংশটি সর্বপ্রথম পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেটি হচ্ছে শিরোনাম। এটি যত বেশী আকর্ষণীয় করে তোলা যাবে সেই ব্লগটি তত বেশী পাঠকদের পড়তে বাধ্য করবে। ব্লগের শিরোনাম যদি ৮ সেকেন্ডের মতো পাঠককে ধরে রাখতে পারে তাহলে ধরে নেওয়া যায় ব্লগ লেখা সার্থক। তাই অস্থির শিরোনাম লেখার জন্য মনোযোগ দেওয়া উচিত।

২। শুরুতে কিছু কথা বা সূচনা – শিরোনামের পরেই ব্লগের ২য় গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হচ্ছে এটি। যেহেতু শিরোনামে অনেক অল্প সময়ের মধ্যে পাঠক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে সে পুরো লেখাটি পড়বে তাই এই অংশে সংক্ষিপ্তভাবে পুরো লেখাটিতে কি কি রয়েছে তা বলে দিতে হবে। বিভিন্ন উপায়ে ভুমিকা দেওয়া যেতে পারে যেমন, গল্প-আকারে, কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে, বর্তমান সময়ের কোনো ঘটনার উল্লেখ করে অথবা কৌতুক দিয়েও শুরু করা যেতে পারে।

যেভাবেই শুরু হোক না কেনো মনে রাখতে হবে এই অংশ পড়ার সময় যাতে পাঠককের আগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং সে সামনে অগ্রসর হয়। আমি এখানে সাজেস্ট করবো লেখক এই অংশে এমন কিছু মজার, চমকপ্রদ তথ্য দিবে যা টপিক রিসার্চের সময় তার ভালো লেগেছে।

৩। মূল লেখা – এখানে বিশদ আকারে লিখার ক্ষেত্রে মনে রাখার বিষয় হচ্ছে, লিস্ট-বুলেট আকারে, নাম্বার দিয়ে সাজিয়ে, উদ্ধৃতি দিয়ে লেখাকে সহজ ও সাবলিল ভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে পাঠকের বিষয়টি বুঝতে ও মনে রাখতে সুবিধা হয়।

৪। উপ-শিরোনাম বা সাবটাইটেল – কনটেন্ট সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা দেওয়া ও লেখার গঠনকে পাঠকের সামনে তুলে ধরার জন্য সাবটাইটেলের গুরুত্ব রয়েছে। এটি এমন ভাবে কনটেন্টে যোগ করতে হবে যাতে যে কেউ পুরো লেখাটিতে একবার নজর রাখলেই বুঝতে পারে, কি কি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

৫। প্রাসঙ্গিক ছবি – অসংখ্য লেখাকে একটি ছবির মধ্য দিয়ে প্রকাশ করা যায়। তারমধ্যে সেই ছবিতে যদি অল্প কিছু লিখে (ক্যাপশন) দেওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই। পাঠকদের দ্রুত বোঝার সুবিধার্থে, ছবির ক্যাপশন গুলো অবশ্যই শিরোনাম, উপ-শিরোনামের মতো আকর্ষনীয় করে তুলতে হবে।

৬। ফিচার ইমেজ – ব্লগের লেখাটি কি বিষয়ে তারই একটি প্রতিফলন হচ্ছে ফিচার ইমেজ, এটি ব্লগে পাঠকদের নিয়ে আসতে একটি অর্থবহ ভূমিকা রাখে।

৭। শেষকথা – পরিশেষে পুরো ব্লগে যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে তার একটি সংক্ষিপ্ত উপসংহার উপস্থাপন করতে হবে। এই অংশে চাইলে লেখায় ব্যবহৃত বিভিন্ন রিসোর্স, লিঙ্ক দেওয়া যেতে পারে।